সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃনূন্যতম যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)তে গুরুদায়িত্ব পালন করে আসছে কতিপয় কর্মচারিরা।এতে করে নতুন মেয়রের আশ্বাসের নগরীর টেকশই উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রয়েছে।স্বচ্ছ বিসিসি’র কারিগর মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ক্ষ্যাতী লাভ করলেও নগরভবনে এখনো অস্বচ্ছতার ছাপ রয়েছে। বিসিসি’র সূত্রে জানা গেছে,২০১৫ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম চাকুরী বিধিমালা বাংলাদেশ গেজেট আইন উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব প্রদান করে৷
এছাড়াও নিয়মবহির্ভূত ভাবে বেশ কয়েক কর্মচারীদের পদন্নোতি চলতি দায়িত্ব প্রদান এবং বেতন প্রে-স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করে। নাম না প্রকাশের শর্তে বিসিসি’র একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানায়, প্রধান প্রকৌশলী খাঁন মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়ে ৭ দিনে ব্যাপক অনিয়ম করে। তিনি গোপন আতাতে বেশ কয়েক কর্মচারীদের চলতি দায়িত্ব দেয়া সহ নানান অনিয়ম করে যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।
এর মধ্যে গত ২০১৫ সালের মে মাসে কার্যসহকারি কর্মচারী মোঃহানিফ কে বাংলাদেশ গেজেট আইন উপেক্ষা করে গোপন সক্ষতায় উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করে। এ পদে যোগ্য কর্মচারি থাকা সত্বেও তৎকালীন সময়ে বিএনপি পন্থী মেয়র ক্ষমতায় থাকার সুবাদে যোগ্যতাসম্পূর্ন আঃলীগ সমর্থিত হওয়ার কারনে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।এ বিষয়ে পদোন্নতির যোগ্যতাসম্পূর্ন কর্মচারী স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় বিভাগে লিখিত অভিযোগ করে সাবেক মেয়র সহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের উকিল নোটিশ দেয়া হয়। এরপরে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরে দায়িত্বগ্রহন করার পরে দূর্নীতিগ্রথ ১৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের তাদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা হয়।
এতে করে নগরবাসীর কাছে স্বচ্ছ বিসিসি’র কারিগর হিসেবে তার নাম উঠে আসে। কিন্তু নতুন এ নগর পিতার নগরবাসীদের দেয়া আশ্বাস ক্রমশ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে থাকলে উন্নয়ন মূলক কাজ পরিচালনার কাজে অযোগ্যরা বহাল থাকায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রয়েছে আসন্ন নগরউন্নয়নের টেকশই হওয়া না হওয়া নিয়েই। কেননা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কার্য সম্পাদনা করাটা হাস্যকর অসম্ভব। এবিষয়ে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল বাশার জানায়, তিনি এ বিষয়টি অবহিত নন। আইন সবার জন্য সমান৷ চাকুরী বিধি মোতাবেক সঠিক ভাবেই যোগ্যতাঅনুযায়ী পদবন্ঠন করা হবে। অপরদিকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মোঃহানিফ জানায় কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব দিয়েছে তাই এ বিষয়ে কোন মতামত দিতে রাজি হয়নি। প্রকৌশল বিভাগের কয়েক প্রকৌশলী বলেন,
বিসিসি’র অস্বচ্ছতায় স্বচ্ছ বিসিসি’র কারিগর হওয়ার প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে অযোগ্যরা এখনও বহাল তবিয়তে থাকায়।সারা দেশের মধ্যে একমাত্র বিসিসিতেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কতৃক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করা হচ্ছে ।
বিসিসি’স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগে বিধিমোতাবেক ছাড়াই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পদে দায়িত্ব দেয়ার ঘটনা অবহিত করে অভিযোগ করা হলেও অদৃশ্য কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ফলে বিসিসি’র কাজে মারাত্মক ক্ষতিসাধন হতে হচ্ছে নগর উন্নয়নে বলেন তারা। বিসিসি’র মেয়রের সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের বাজেট ঘোষনার মধ্যেই বিসিসি’র সকল দপ্তরে রদবদল করা হবে।
এতে যোগ্যতা বিবেবচা করে পদবন্ঠন করা সহ অযোগ্যদের যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানা গেছে।
Leave a Reply